ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের  (আইবিএফবি)ঢাকা:: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শৃংলা বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সকল বাধা দূর হয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশের ২১ টি পণ্য ভারতে বিনাশুল্কে  ফ্রী অ্যাক্সেস পায়। ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৩  বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আগামী দিনে আরো ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সংযুক্ত করার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) ঢাকা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের  (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথাকে বলেন। তিনি দেশের ব্যবসা পরিবেশকে উন্নত করার লক্ষে  আইবিএফবি’র কার্যক্রমের  প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ডঃ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া এখন বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সন্ধান করছে। ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, চীন ও ভুটান বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের একটি শক্তিশালী বহুজাতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে এবং ব্লু ইকোনোমির  সুবিধা উপভোগ করতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিগুন  জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে এবং কর জিডিপির অনুপাত ৪০% এ উন্নীত হবে।

ডঃ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে কর কাঠামোকে সরলীকরণের উপর জোর দেন যা সম্পূর্ণভাবে ব্যবসা পরিবেশকে সহজতর করবে। তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  এবং বিএসটিআইয়ের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন।

আইবিএফবি’র বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআই’র সদ্য প্রাক্তন সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বক্তৃতা করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে,আইবিএফবি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসার সম্প্রদায়ের জন্য চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা এবং প্রচার কর্মসূচী পরিচালনা করে ব্যাবসায়ী সম্প্রদায়কে লাভবান করতে পারে। আজকের মতো ভারত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক কখনোই উচ্চতর ছিল না।

আইএফএফবি’র সভাপতি জনাব হাফিজুর রহমান খান সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, দেশে একটি ব্যবসায়িক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আইবিএফবি গত ১২ বছরে প্রায় ৩০ টি গবেষণা ও প্রচারণা কর্মসূচী সম্পন্ন করেছে যার মধ্যে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগ, জাহাজনির্মাণ শিল্প, সিটি গভর্নেন্স, আয়কর আইনের জটিলতা হ্রাস এর সরলীকরণ, ওয়ান স্টপ সার্ভিস এক্ট ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আইবিএফবি ভুটান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ইউএসএ, কোরিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বিনিময় করেছে।

অন্যদের মধ্যে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আউবার্ট, ফিলিপাইনে রাষ্ট্রদূত লরেন এস আরেস; তান বাও পুত্র, ভিয়েতনাম দূতাবাসের তৃতীয় সচিব, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার মোসুরাই মেসন; মিয়ানমার  দূতাবাসের সিডিএ, অনুগ মিন্ট; বিমসটেকের পরিচালক কুনজং এন; জি. এম. কাদের, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান; জনাব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মোঃ ওমর শাফায়াত কাউসার, সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি (অর্থ) হুমায়ুন রশীদ, আইবিএফবি’র চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি জনাব এস এম আবু তৈয়ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আইবিএফবি’র ১২তম এজিএম দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বার্ষিক সাধারণ সভাতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া বেঙ্গল বে গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো: ওমর সাফায়াত কাউসার এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদকে যথাক্রমে আইবিএফবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ) হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়।

এ ছাড়া, এইচএসটিসি লিমিটেডের সিইও মিঃ এম সোয়েব চৌধুরী; ইঞ্জিনিয়ার মো: অজয় শংকর পারিয়াল, ব্যবস্থাপনা সহযোগী ও সিইও, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জনিরিং এন্ড সার্ভিসেস; মোঃ শাহ আলম বাবুল, প্রোপাইটর, রুহুল আমিন ও ব্রাদার্স, আফিয়া এন্টারপ্রাইজ ও এশিয়া কটন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ প্রথমবারের মতো আইবিএফবি’র পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নির্বাচিত হন।– প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here