
শাকিরা ও স্করপিয়ন্সকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে অন্তর শোবিজ লিমিটেড। তারা এর আগে শাহরুখ খানকে ঢাকায় এনে আলোচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী ২ আগস্ট দুপুরে বললেন, ‘শাকিরার মতো বিখ্যাত তারকাকে নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হলে ব্যাপক প্রস্তুতি দরকার। আমরা তাকে নিয়ে আসবো এটা নিশ্চিত। শাকিরাকে ঘিরে এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চাই আমরা। তবে কবে, কখন, কোথায় কনসার্টটি হবে সে ব্যাপারে এখনও বলার সময় আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জার্মানির বিখ্যাত রকব্যান্ড স্করপিয়ন্স সংগীত পরিবেশন করতে নভেম্বরে আসবে। এর প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছি। আর কিছুদিনের মধ্যে আমরা সব চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবো।’
স্বপন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া গেছে, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শাকিরার বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবলে ‘ওয়াকা ওয়াকা’ আর এ বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সমাপনীতে ‘লা লা লা’ গানটি গেয়ে গোটা দুনিয়া আলোড়ন তুলেছেন শাকিরা। ৩৭ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী গান গাইতে ঢাকায় এলে তা হবে স্মরণীয় ঘটনা।
অন্যদিকে গোটা দুনিয়ার মতো সর্বকালের সেরা ব্যান্ডের মধ্যে অন্যতম স্করপিয়ন্সের ভক্ত আছে বাংলাদেশেও। ষাটের দশকের এই রক ব্যান্ডের ‘রক ইউ লাইক অ্যা হারিকেন’, ‘নো ওয়ান লাইক ইউ’, ‘সেন্ড মি অ্যান অ্যাঞ্জেল’, ‘স্টিল লাভিং ইউ’, ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ গানগুলো সারা দুনিয়ায় সমাদৃত।
স্করপিয়ন্সের অ্যালবামগুলো হলো- লোনসাম ক্রো (১৯৭২), ফ্লাই টু দ্য রেইনবো (১৯৭৪), ইন ট্রান্স (১৯৭৫), ভার্জিন কিলার (১৯৭৬), টেকেন বাই ফোর্স (১৯৭৭), লাভড্রাইভ (১৯৭৯), অ্যানিমেল ম্যাগনেটিজম (১৯৮০), ব্ল্যাকআউট (১৯৮২), লাভ অ্যাট ফার্স্ট স্টিং (১৯৮৪), স্যাভেজ অ্যামিউজমেন্ট (১৯৮৮), ক্রেজি ওয়ার্ল্ড (১৯৯০), ফেস দ্য হিট (১৯৯৩), পিউর ইন্সটিঙ্কট (১৯৯৬), আই টু আই (১৯৯৯), মোমেন্ট অব গ্লোরি (২০০০), আনব্রেকেবল (২০০৪), হিউম্যানিটি : আওয়ার ওয়ান (২০০৭), স্টিং ইন দ্য টেইল (২০১০), কামব্যাক (২০১১)।