স্টাফ রিপোর্টার :: অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ধারণ করেই জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে চান প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘যত দিন বাঁচি, নিজের বিবেকের সঙ্গে যেন বিশ্বাসঘাতকতা না করি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সারাজীবন কাটিয়েছি। এ বিশ্বাস নিয়েই মরতে চাই।’
প্রবীণ এই সাংবাদিকের ৮৬তম জন্মদিন উদযাপনে রোববার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে নাগরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের এই রচয়িতা। তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সচেতন না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর দেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। এখন বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তাই নানা জনে সমালোচনা করলেও তিনি শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রেখেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশ এখনও তার অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধরে রেখেছে। রোহিঙ্গা ও ভারতের এনআরসি সংকটের মাঝে খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শুভেচ্ছা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ রাজনীতিক, শিল্পী, গায়ক, অভিনেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ নানা পেশা ও শ্রেণির মানুষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে গাফ্ফার চৌধুরীর লেখনী বড় ভূমিকা রেখেছে। তার গান বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি আরও বহুদিন বেঁচে থাকবেন এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ে যাবেন।