নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::

ঋতু-বৈচিত্র ও ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এই ছয়টি ঋতুর প্রত্যেকটি ঋতুর আছে একেকটি রুপ। আষাঢ়-শ্রাবণ এ দু’মাস বর্ষাকাল। এখন বর্ষাকাল হলেও দেখা মিলছেনা বর্ষার। আষাঢ় মাসেও প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ নওগাঁর আত্রাইবাসীসহ পুরো দেশবাসী। মাঝে মধ্যে হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি প্রকৃতিকে ভিজিয়ে দিয়ে যায় কিছুটা স্বস্তি।  আষাঢ়ের শুরুতেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের ব্যস্ততা লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে বর্ষাকাল। অবিরাম বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার ফলে নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণ।

রোদ-বৃষ্টির খেলায় বাজারে বেড়েছে ছাতার বিকিকিনি। আর চাহিদার ওপর বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। কার ছাতা কে আগে মেরামত করে নেবেন তার জন্য শুরু হয় প্রতিযোগিতা। আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু ছাতা তৈরির কারিগর। যারা সারা বছর অন্যের দোকানের সামনে বসে কাজ করে থাকেন। উপজেলার ভবানীপুর-মির্জাপুর বাজার ঘুরে দেখা যায় ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগরেরা।

ছাতা কারিগর রইচ উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং প্রভূতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সরবরাহ রয়েছে অনেক কম। তারা আরো বলেন, সারা বছর ধরতে গেলে তাদের বসেই থাকতে হয়। খুব একটা কাজ থাকেনা। তবে এই সময়টাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ।

ভবানীপুর বাজারে ছাতা মেরামত করাতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, চারটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয় তাই ঠিক করতে এসেছি। ছাতার কারিগরেরা প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। কারিগরেরা হাতের নিপুণ কাজে সারিয়ে তোলেন ছাতার সমস্যা। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চালান তাদের সংসার জীবন।

ভবানীপুর বাজারের বিস্ধস মিল্লাহ্ কসমেটিক্স এর মালিক সবুজ সরদার বলেন, আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারী ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতা চাহিদা একটু বেশি। ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৯০ থেকে ২১০ টাকা এবং দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ৩৫০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here