ফরহাদ খাদেম, ইবি সংবাদদাতা :: 
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতাসহ দোয়া ও মোনাজাত কর্মসূচী পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 
সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবন চত্বরে গার্ড অব অনারসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী। পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য মুক্তবাংলায় গিয়ে সমবেত হয়।
সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এরপর একে একে জিয়া পরিষদ, বিভিন্ন সমিতি, সকল হল, বিভিন্ন বিভাগ, ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আশরাফ উদ্দিন খান।
এরপর শহীদ জিয়াউর রহমান কর্তৃক স্থাপিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন, জিয়া পরিষদ ও ছাত্রদল।
এদিকে, বেলা সাড়ে ১২টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে ভলিবল খেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এসময় শিক্ষক বনাম কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী বনাম সাধারণ কর্মচারী এবং আবাসিক হলগুলোর মধ্যে প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হলে দুপুরের প্রীতিভোজে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here