194054mithun-bpl-500001বরিশাল বুলসকে ১২ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে ১৬৩ রানে অলআউট হয় বরিশাল।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান। হাতে তিন উইকেট। বোলিং প্রান্তে সোহাগ গাজি। চার বলে ৭ রানের বিনিময়ে সবকটি উইকেটের পতন ঘটে (দু’টি রান আউট)। নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ১৭ রানে (১০ বল) অপরাজিত থাকা থিসারা পেরেরার একরাশ আক্ষেপই সঙ্গী হয়।

চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে টস জিতে নাঈম ইসলামদের ব্যাটিংয়ে পাঠান বলিশাল দলপতি মুশফিক। কিন্তু টার্গেটে খেলে জয়ের ধারা ধরে রাখার লক্ষ্যটা শেষ পর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়। জিভান মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরী দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরলেও তা শেষ হাসির জন্য যথেষ্ট ছিল না।

বরিশাল শিবিরে শুরতেই জোড়া আঘাত হানেন অফস্পিনার সোহাগ গাজি। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তিনি। মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে আটকা পড়েন শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাবেরা (০)। তৃতীয় ওভারের মাথায় ফর্মে থাকা শাহরিয়ার নাফিসকে (১২) নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন গাজি।

মুশফিকুর রহিমও (৮) দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। লিয়াম ডসনের করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে নাফিসের মতোই স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের পার্টনারশিপে বরিশালকে ম্যাচে ফেরান জিভান মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরী। কিন্তু ১৬ ও ১৮তম ওভারে দু’জনকেই সাজঘরে পাঠিয়ে রংপুরকে জয়ের পথে নিয়ে আসেন শহীদ আফ্রিদি। সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন নাদিফ। অর্ধশতক হাঁকিয়ে মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস (৫৩ বলে ৫৭)।

রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট লাভ করেন গাজি। দু’টি করে নেন অাফ্রিদি ও রুবেল হোসেন। ১৯তম ওভারে রায়াদ এমরিত (৯) ও আবু হায়দারকে (০) পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন রুবেল। বাকি উইকেটটি নেন লিয়াম ডসন।

এর আগে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটি ও ডসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় রংপুর। নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তারা ছয় উইকেটে ১৭৫ রান তোলে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here