বরিশালে মেয়ের উত্যক্তকারীদের হাতে নিহত স্কুল শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাত আলীর হত্যাকারী রুপম চন্দ্র দে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে যশোরের খাজুরিয়া থেকে সোমবার সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিটে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বলে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জিল্লুর রহমান। তিনি আরও জানান, রুপম ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। দুপুরে ডিবি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে রুপমকে হাজির করানো হয়। রুপম জিন্নাত আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে ‘তিনি মারা যাবেন আমি বুঝিনি।’ রুপম আরও জানায় তার নামে করা জিডি প্রত্যাহার করানোর একটি দরখাস্ত নিয়ে ফোন করে সে জিন্নাত আলীর বাসায় যায় । সেখানে কথা কাটাকাটি হলে সে তার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয় । রুপমের দাবি প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে জিন্নাত আলীর মেয়ে সুপ্তির সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিন্তু গত ১ বছর ধরে সুপ্তি তাকে এড়িয়ে যাচ্ছিল। তাকে পাত্তা দিচ্ছিলনা। এরপর থেকে সে তাকে ডিসর্টাব করছিল। প্রায় ৩ মাস আগে তার নামে জিডি করলে পুলিশের তারা খেয়ে রুপম পালিয়ে ঢাকা চলে যায় বলে জানায়। কিছুদিন আগে এসে জিডি প্রত্যাহারের জন্য জিন্নাত আলীর কাছে যায়।গত শুক্রবার রাতে জিন্নাত আলীকে ছুরিকাঘাত করে রুপম। শনিবার মারা যান তিনি। ওই রাতেই আটক করা হয় রুপমের সহযোগী মিঠুকে। রুপম গ্রেফতার হলো। এ ব্যাপারে রবিবার বিকেলে নিহত জিন্নাত আলীর স্ত্রী কাজী শিরিন আক্তার বাদি হয়ে বখাটে রূপম ওরফে রূপা ও তার একান্ত সহযোগী গ্রেফতারকৃত আরিফুর রহমান মিঠুকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নগরীর রুপাতলী এলাকার এ. ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে

উল্লেখ্য বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী সুপ্তিকে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল রুপম ওরফে রুপা নামের এক বখাটে। গত দেড় মাস পূর্বে রুপমের বিরুদ্ধে সুপ্তির পিতা শিক্ষক জিন্নাত আলী বাদি হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। এ ঘটনার পর থেকেই বেপরোয়ার হয়ে উঠে রুপম ও তার সহযোগীরা। শুক্রবার রাতে বাজার শেষে বাসায় ফেরার পথে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে রুপম ও তার সহযোগীরা। পরদিন তার মৃত্যু হয়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মামুনুর রশিদ/বরিশাল

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here