বরগুনা :: বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপকূলীয় জেলা বরগুনার পরিরখাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো সবুজ উপকূল ২০১৮ কর্মসূচি। স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানো, জ্ঞান ও সৃজনশীল মেধার বিকাশ এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।
শনিবার (৪ আগষ্ট) অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচির মধ্যে ছিল সৃজনশীল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ, গাছের চারা রোপণ, র্যালী ও আলোচনা সভা।
পড়ুয়াদের লেখা নিয়ে প্রকাশিত হয় নান্দনিক দেয়াল পত্রিকা ‘বেলাভূমি’। সবুজ উপকূল কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উপকূল বাঁচাই, সবুজ সুরক্ষা করি।’
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বরগুনার পরিরখালে এ কর্মসূচির আয়োজন করে কোস্টালবেল্ট এডুকেশন ট্রাস্ট। সহযোগিতা করেছে কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক-আলোকযাত্রা, মিডিয়া পার্টনার ছিল অনলাইন নিউজপোর্টাল একুশ শতক ও ইউনাইটেড নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহনেওয়াজ সেলিম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরীরখাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির কিশোর হাজরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিরখাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান, সিনিয়র শিক্ষক মো: শাহআলম, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মো:আনোয়ার হোসেন, সহকারি শিক্ষক নাসির উদ্দিন সুমন, সান প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: ইলিয়াস, কোস্টালবেল্ট এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মো: তৈয়বুর রহমান।
কর্মসূচি সর্ম্পকে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ শাহনেওয়াজ সেলিম বলেন, এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে উপকূলের শিক্ষার্থীর উপকূল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে। ভবিষ্যৎ উপকূলের উন্নয়ানে কাজ করতে পারবে। সবুজ উপকূল কর্মসূচি যেন বরগুনার সকল স্কুলে অব্যাহত থাকে, এ দাবি জানাই।’
কোস্টালবেল্ট এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মো: তৈয়বুর রহমান বলেন, সকলের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততায় কোস্টালবেল্ট এডুকেশন ট্রাস্ট এর মাধ্যমে উপকূলের পড়ুয়াদের সৃজনশীল মেধাবিকাশে, পরিবেশ ও জলবায়ু পরির্বতনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবে। আমরা মনে করি এই কর্মসূচি বিদ্যা অর্জনেরই বিরাট সহায়ক।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কোস্টাল ইয়ূথ নেটওয়ার্ক- আলোকযাত্রা টিমের সদস্য মারিয়া ও আব্দুল্লাহ।
বিগত তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবার উপকূলের ৩০ স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘সবুজ উপকূল ২০১৮’ কর্মসূচি। উপকূলীয় ১৩ জেলার ২৩ উপজেলার ১৫০ স্কুলের দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এই নিয়ে চার বছরে এ কর্মসূচির আওতায় এসেছে উপকূলের ১৬ জেলার ২৬ উপজেলার ৪০৫টি স্কুলের প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী।