কিছু অসাধু বনজীবি, ব্যবসায়ীদের চক্রান্তে উজাড় হয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের কর্তন নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির বনজ বৃক্ষ। অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বন বিভাগের স্বার্থেন্নেষী কর্মচারীরা, সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, ঝুঁকি পূর্ণ হচ্ছে সুন্দববন সংলগ্ন জনপদ।
২০০৭ সালে ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস সিডরে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর থেকে সরকারী ভাবে এসব বৃক্ষ কর্তন নিষিদ্ধ থাকলেও অর্থলোভী বনরক্ষীদের সহায়তায় একশ্রেণীর স্বার্থন্নেষী বনজীবি, ব্যবসায়ী ও চক্রান্তকারী সুন্দরবন থেকে অবৈধ ভাবে সুন্দরী, গরান, হেতাল, বাইন ইত্যাদি বৃক্ষ কর্তন করে বন উজাড় করে ফেলেছে, এবং শ্যামনগর পাইলট স্কুলের সামনে প্রধান সড়কের পার্শ্বে সহ ন’বেঁকি, ভেটখালী ও উপজেলার কয়েকটি বাজারে প্রকাশ্যে, গরান, হেতাল গেওয়া ইত্যাদি কাঠ খোলা বাজারে প্রায় সারা বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে। কাঠ বিক্রেতা উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের রউফ গাজী জানালেন, ভেটখালীর হারেজ, আমিনুর, টেংরাখালীর সামাদ, সহর আলী মোল্যা আরও কয়েক জন গভীর রাতে কাঠ নিয়ে আসে, আমরা কিনে বিক্রি করি। তিনি আরও বলেন, গরানের কোড়া ও খুটি সাইজ অনুযায়ী ১৫ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। আইন প্রয়োগকারী সংশিষ্টরা দেখেও অদৃশ্য কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন না। ফলে একদিকে উপকুলীয় জনপদের প্রাচীর হিসেবে খ্যাত সুন্দরবন দিন দিন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু প্রভাবিত সংকটে পড়ছে নদীবন সংলগ্ন জনবসতি। অন্যদিকে বনবিভাগের পাশ পারমিট ছাড়া চোরাই পথে অবৈধ ভাবে এসব কর্তন নিষিদ্ধ মূল্যবান কাঠ বিক্রি করায় সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিষয়টি জানার জন্য বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী ষ্টেশন কর্মকর্তা মোলায়েম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তবে রেঞ্জের এ,সি,এফ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, কর্তন নিষিদ্ধ চোরাই কাঠের ব্যাপারে অভিযান চালানো হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা