আনোয়ার হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: 
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের বড়পিলাকের ৪নং এলাকার কাঁচা সড়কটি মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এলাকাটি কৃষি নির্ভর। এলাকার মানুষের কৃষিপন্য এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তা বর্ষাকালে খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যাপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের। দুর্ভোগ জনসাধারণের। 
এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও জন্য উপযোগী নেই রাস্তাটি। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, শিশু-বৃদ্ধসহ সকলে।  সীমাহীন দুর্ভোগে নাকাল এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনসাধারণের চলাচলে জন্য গ্রামীণ এ রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ৪ নং এলাকার  গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় মারাত্মক কাদার সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি খালি পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায় হাজার গুণ।
স্হানীয় পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম  জানান, অবহেলিত কর্দমাক্ত রাস্তায় সামন্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা ও বড়-বড় গর্ত হয়। আর এ এসব গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। তখন যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন গ্রামের হাজার  মানুষ।
সমাজ সেবক মাহবুব আলী বলেন, আমাদের এ পাড়া থেকে অনেক  ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে ও মাদরাসায় যায়। বর্ষাকালে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে  কষ্ট হয়। অনেকসময় গায়ের জামা কাপড় কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে যায়। এখানে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা অনেক কঠিন হয়ে পরছে। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দিলে জনভোগান্তি কমবে।
স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, কর্দমাক্ত রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিনই ছোট-ছোট দূর্টঘনা ঘটছে। অতিদ্রুত এ রাস্তা সংস্করণ না করলে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা। রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউএনও, এমপি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here