বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্রকরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হাতে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ কর্মী ও নেতাদের লাঞ্ছিতর ঘটানায় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ। অশানত্ম কলেজ ক্যাম্পাস।
রোববার সকাল ১১ টায় গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু সড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধকারীরা ঘটনার সাথে জড়িত টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বহিস্কারের দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে গোপালগগঞ্জের এএসপি মোঃ শফিকুল ইসলাম (হেডকোয়ার্টার), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন ছাত্রনেতাদের শান্ত করে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যান। পরে সদর উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি শেখ মোঃ ইউসুফ ছাত্রনেতাদের দাবীর প্রেক্ষিতে বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমি জেলা আওয়ামীগের সাথে আলাপ করে টুঙ্গিপাড়ার নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধান করব। তা না হলে জেলা ছাত্রলীগের ক্ষমতাবলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের বহিস্কার করা হবে। এ আশ্বাসে ছাত্রনেতারা শান্তহলেও হঠাৎ করে অশানত্ম হয়ে উঠে কলেজ ক্যাম্পাস। টুঙ্গিপাড়ার ছাত্র মনে করে এক ছাত্রকে বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে জেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা। বেধে যায় জেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় কলেজের অধ্যড়্গ এমএ হাই, ছাত্রলীগ নেতা হামিদ, রফিক ও পুলিশের কর্মকর্তাদের হসত্মড়্গেপে পস্থিতি শানত্ম হলেও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে জেলা ছাত্রলীগের পড়্গ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে টুঙ্গিপাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরম্নদ্ধে যথা-যথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাব। সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ মোঃ ইউসুফ ছাত্রনেতাদের শানত্ম থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আজ জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে এটা কোন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কাজ নয়। এ ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগের মধ্যের লুকিয়ে থাকা বাইরের কোন আত্মঘাতি লোক। তাদেরকে খুজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এম এম হাসানুজ্জামান/গোপালগঞ্জ