বগুড়া : ১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হরতাল সমর্থক পিকেটাররা বগুড়ার রেল স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় পদ্মরাগ টোয়েন্টি ওয়ান আপ ট্রেনে ব্যাপক হামলা চালায়।
এতে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়।
পুলিশ এ সময় পিকেটারদের উপর ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও দুই রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদি হাসান হিমুসহ ৩ জন আহত হয়। এছাড়াও শেরপুর উপজেলায় ট্রাকে হামলাসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
হরতাল চলাকালে সকাল থেকে বগুড়া সদর থানার সামনে, শহরের ইয়াকুবিয়া মোড়ে, সেউজগাড়ি মোড়ে সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
দুপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। হরতালকারীরা শহরতলীতে শহরের প্রবেশ মুখে পিকেটিং করায় শহরে রিক্সা, ভ্যান পর্যন্ত চলাচল করতে পারেনি।
এদিকে হরতালের সমর্থনে বিকেলে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়া রেল ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার বেনজির আহমেদ জানান, পিকেটারদের ছোঁড়া ঢিলে ১০ট্রেন যাত্রী আহত হয় । এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সদর থানার ওসি সৈয়দ সহীদ আলম বলেন, রেল ষ্টেশনে হরতাল সমর্থকদের হামলা ঠেকাতে শর্টগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
বগুড়া শেরপুরে হরতালের দ্বিতীয় দিনে পিকেটারদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চলন্ত ট্রাক ঢুকে পড়ল বসত বাড়ীতে।
সোমবার দিবাগত রাত্রী ১টার দিকে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার মহাসড়কের খেজুরতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ট্রাক চালক সহ ৬জন আহত হয়েছে। পিকেটারদের ঢিলে কমপক্ষে ৩০টি যান ভাংচুর হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলো, ট্রাক চালক আব্দুল মোমিন(৪৮), জহুরুল(৪৫) রিক্সা চালক ওমর আলী(৫৫), মহির(৪৮), সোবাহান(৩৫) ও নজরুল(৩২)। বিএনপির সহ ১৮ দলের ডাকা হরতালের ২য় দিনে গভীর রাতে মহাসড়কের নয় মাইল,দশ মাইল, গাড়ীদহ, কলেজরোড, বাসষ্ট্যান্ড, ধুনটমোড়, ছোনকা এলাকায় এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, গভীর রাতে ঢাকা থেকে দিনাজপুর গামী ট্রাক মারিয়ম পরিবহন শেরপুর ধুনটমোড় এলাকায় পৌছিলে এলোপাথারি ভাবে পিটেটাররা ঢিল ছুঁড়ে।
একটি ঢিল চালকের মাথায় লাগলে ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে বসত বাড়ীতে ও দোকানে ঢুকে পড়ে এতে উল্লেখিত ৬জন আহত হয়।
বর্তমানে আহত ট্রাক চালক মোমিন বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানায় শেরপুর টাউর পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার টিপু সুলতান। তবে কোন মামলা হয়নি বলে জানায় শেরপুর পুলিশ।
এদিকে ভাংচুরকৃত একাধিক ট্রাক চালকরা জানায়, তাদের থামিয়ে মারপিট ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তানসেন আলম/