বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নন্দীগ্রাম পৌর শহরসহ গোটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হোটেল-রেস্তেরাঁ, চায়ের দোকান, ইট ভাঙা, ওয়েলডিং কারখানা ও রিকশাভ্যান চালানোর মতো কঠিন শ্রমে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৬ হাজার শিশু। এসব শিশুর বয়স ৯ থেকে ১৩ বছর। এ বয়সে এসব শিশুর হাতে থাকার কথা ছিল বই, খাতা, কলম। কিন্তু নিয়তির কি পরিনতি। আর আইন না মানার প্রবণতার কারণে স্কুলে যাওয়া-আসা ও খেলাধুলা থেকে ঝড়ে পড়ছে এসব শিশুরা। তবে শিশুদেরকে কঠিন শ্রমে নিয়োজিত করার পেছনের কারণ সংসারের অসচ্ছলতা কারো কারো অভিভাবক না থাকা এবং অসচেতনতা।

পৌর এলাকার শিশু আমির হোসেন জানায়, সংসারের অসচ্ছলতার কারণে স্কুল বাদ দিয়ে রিক্সা চালানোর কাজ বেছে নিয়েছি। প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে ১০০-১৫০টাকা উপার্জন করি। সে টাকা দিয়েই সংসার চালানো হয়।  প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রিক্সা চালাই।

দাসগ্রাম গ্রামের ওয়েলডিং কারখানার শ্রমিক দুলু মিয়া জানায়, সংসারের অসচ্ছলতার কারণে ওয়েলডিং কারখানায় কাজ করছি। সে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিল। অর্থের অভাবে দুলুর মতো হাজারো শিশুরা সুশিক্ষা থেকে একদিকে যেমন চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে অনেক স্কুলগামী শিশু ছাত্র শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে পিতা-মাতার অসচেতনতার জন্য কিছু শিশু শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মত পোষণ করেছেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানসেন আলম/বগুড়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here