বগুড়ার কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত ঘেষা নাগর নদী এখন ইটভাটা মালিক এবং অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনকারীদের দখলে রয়েছে। যেকারনে হুমকির মুখে ওয়েছে ৩ উপজেলার অর্ধশত গ্রামের মানুষ।
শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ থেকে শুরু করে কাহালু উপজেলার পিপড়া পর্যন্ত এই নদীর অসংখ্য পয়েন্টে চলছে অবৈধ ভাবে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহাৎসব। মাটিকাটার জন্য ইটভাটা মালিকরা লাগিয়েছে অসংখ্য লেবার। বালু তোলার জন্য বসানো হয়েছে বড় বড় শ্যালো মেশিন হাঙ্গর ও ড্রেজার মেশিন। মাটি ও বালু নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচে নির্মান করা বাঁধ কেটে ট্রাক ও ট্রলি যাতয়াতের রাস্তা বের করেছে প্রভাবশালীরা। কতিপয় ইটভাটা মালিক আবার নাগর নদীর জায়গা দখল করে সেখানেই নদীর মাটি কেটে বানাচ্ছে ইট। ইটভাটা মালিকরা বালু ও মাটির সুবিধার্থে কেউ নদীর সাথে আবার কেউ নদীর পার্শ্ববতী এলাকায় নির্মান করেছে ইটভাটা। ইটভাটা মালিক এবং অবৈধ ভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের অভার লোডের ট্রাক সহ অন্যান্য পরিবহনের চলাচলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা খরচে নির্মান করা রাস্তা গুলো। যেভাবে নাগর নদী থেকে বালু উত্তোলন ও মাটিকাটা হচ্ছে তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে মহাবিপদে পড়তে পারে উলেখিত ৩ উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামের মানুষ। ধ্বংস হতে পারে নাগর নদীর উপর নির্মান করা অধিকাংশ ব্রীজ। বিগত কয়েক বছর ধরেই নাগর নদীর মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় গ্রামবাসীরা একাধিকবার অভিযোগ করলেও এই অপতৎরতা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন।
উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির গত সভায় এ ব্যাপারে কথা উঠলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ জানান নাগর নদীর মাটিকাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/তানসেন আলম/বগুড়া