ডেস্ক রিপোর্ট::  বেশ কয়েকমাস ধরেই ঝুলেছিল জোয়াও ফেলিক্সের বার্সেলোনায় আগমন। এরপর কাতালান ক্লাবে অভিষেক ম্যাচ থেকেই দারুণ ফর্ম দেখিয়ে চলেছেন এই পর্তুগিজ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন মৌসুমের যাত্রাতেও দারুণ নৈপুণ্য ফুটেছে ফেলিক্সের পায়ে। দুটি গোলের পাশাপাশি করেছেন এক অ্যাসিস্টও। আগের দুই আসরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেওয়া কাতালানরা এবার শুরুতে রীতিমতো গোল উৎসব করেছে।

বেলজিয়ান ক্লাব অ্যান্টওয়ার্প তাদের কাছে উড়ে গেছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে। যার প্রথম তিনটিই আসে প্রথমার্ধে। যার চাপ আর সামলে উঠতে পারেনি অ্যান্টওয়ার্প। ম্যাচে গোল পেয়েছেন অভিজ্ঞ পোল্যান্ড তারকা রবার্ট লেভান্ডফস্কি ও গাভি। এছাড়া একটি আত্মঘাতী গোলও পায় জাভি হার্নান্দেজের দল।

ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই এদিন জালের দেখা পেয়ে যায় বার্সা। মূলত ব্লু-গ্রানারদের আগ্রাসী রূপের সামনে শুরু থেকেই দিশেহারা ছিল অ্যান্টওয়ার্প রক্ষণ। লেভান্ডফস্কির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার পর সেই বল যায় ইলকাই গুনদোয়ানের কাছে। তার কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে ফেলিক্স সফল লক্ষ্যভেদ করেন। অল্প সময় পরই তাদের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেভান্ডফস্কি। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের বাড়ানো থ্রো বল ধরে ফেলিক্স দেন পোলিশ তারকাকে। ওয়ান টাচে লেভা বাকি কাজ সারেন।

এরপর নড়বড়ে বেলজিয়ান ক্লাবটি আরও বড় ভুল করে বসে। বার্সার একের পর এক দাপুটে আক্রমণে তারা নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসে। মাত্র ২২ মিনিটেই ৩-০ লিড পেয়ে যায় বার্সা। এরপরও আক্রমণ অব্যাহত থাকলেও বিরতির আগে আর কেউ গোলের দেখা পায়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এবার স্প্যানিয়ার্ড তরুণ গাভির আঘাত। লেভার অ্যাসিস্টে ৫৪ মিনিটে তিনি ব্যবধান বাড়িয়ে নেন। এরপর আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় ও দলের ৫ম গোলটি আদায় করে নেন ফেলিক্স। রাফিনিয়ার ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান এই পর্তুগিজ তারকা।

গোল উৎসব আরও বড় হতে পারত বার্সার। পাঁচ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও তারা বেশকিছু সুযোগ পেয়ছিল। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকণিষ্ঠ গোলদাতা হওয়ার সুযোগও এসেছিল লামিনে ইয়ামালের সামনে। কিন্তু তিনি সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না পেলেও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here