ডেস্ক রিপোর্ট::  ফুচকা বেচে বছরে ৪০ লাখ টাকা আয় করেছেন এক যুবক। তথ্যটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তামিলনাড়ুর সেই ফুচকা বিক্রেতার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ।

যে কোনও ব্যবসার বার্ষিক লেনদেন ৪০ লাখের ওপর হলে ভারতের নিয়ম অনুযায়ী গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি) দিতে হয়। এছাড়া জিএসটিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়।

তামিলনাড়ুর সেই ফুচকা বিক্রেতা নিয়ম ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। চোখে পড়ে আয়কর দপ্তরের। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তার লেনদেন ৪০ লাখ টাকা।

গত মাসের ১৭ তারিখ একটি নোটিশ পাঠানো হয় ওই ফুচকাওয়ালাকে। তামিলনাড়ুর জিএসটির ৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।

এছাড়া সেই ফুচকা বিক্রেতাকে গত তিন বছরের আর্থিক লেনদেনের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার সব অ্যাকাউন্ট ও নথি খতিয়ে দেখবে তদন্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে শনিবার। ৪০ লাখের লেনদেন দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেক মানুষের।

অনেকেই বলেন, তার আয় একজন বিজ্ঞানের প্রফেসরের থেকেও বেশি। কারণ প্রফেসরকে আয়কর দিতে হয়।

আরেকজন লেখেন, এভাবে আয়কর ফাঁকি দিয়ে অনেক মানুষ লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

অনেকে আবার ফুচকা বিক্রেতার পক্ষে কথা বলেন। একজনের দাবি, আজকাল অনেকেই অনলাইনে টাকা দিয়ে ক্যাশ চেয়ে নেন। সে ক্ষেত্রে আয় হিসেবে সেটাকে ধরা যায় না।

আরেকজন বলেন, জিনিসপত্র কিনে, বানিয়ে, পরিশ্রম ধরে ও অন্যান্য খরচ হিসাব করে বাদ দিয়ে দেখা যেতে পারে তার রোজকার আয় সামান্য।

আরেকজন বলেন, লেনদেন মানেই আয় নয়, আয় কতটা সেটা দেখা জরুরি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here