ডেস্ক রিপোর্ট:: ৯ মাস আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে বিভাগে নানা অনিয়ম চলছে। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা শেষ করে ৯ মাস পার হয়েছে অথচ আমাদের ফলাফল দিচ্ছে না। শিক্ষকরা বারবার শুধু আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছেন। রেজাল্ট না দেওয়ার ফলে অনেক চাকরি পরীক্ষাতেও অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সাংবাদিকতা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর মাস্টার্সের পরীক্ষা শুরু হয়। পরে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ভাইভার মাধ্যমে পরীক্ষা শেষ হয়। ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতার কারণে এর ফলাফল আটকে আছে।
বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফলাফল প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোভাবেই সহায়তা করছে না। এখানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষক মুসতাক আহমেদ পরীক্ষা কমিটির প্রধান ছিলেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সবকিছু তার কাছে আটকে রেখেছে। আমরা অনতিবিলম্বে ফলাফল চাই এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার কাছে কিছু নম্বর ছিল, বেশ কয়েক দফায় নম্বর চাওয়ার পর সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কিছু নম্বর সরবরাহ করেছেন। তার কাছে এখনো বেশকিছু নম্বর রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে রেজাল্ট প্রকাশের জন্য করণীয় সম্পর্কে জানতে আজকে আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। এরমধ্যেই শিক্ষার্থীরা বিভাগে তালা দিয়েছে। এখন আমরা প্রশাসনিক ভবনে আছি। বিষয়টি সমাধানে আলোচনা করব।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ বলেন, আমার কাছে কোনো নম্বরপত্র নেই, যা ছিল সব সরবরাহ করেছি। ফলাফল প্রকাশ করতে না পারা বর্তমান সভাপতির ব্যর্থতা। তিনি (বর্তমান সভাপতি) ব্যর্থতা ঢাকতে তালবাহানা করছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট না দেওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে এত মাস ধরে অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বিভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই রেজাল্ট প্রকাশিত হবে।