ফরিদপুরের আটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মলয় বোস হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুধবার স্থানীয় সালথা উপজেলা আওয়ামীলীগ এলাকায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। বিক্ষুব্ধ জনতা খুনিদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। জনতা চারটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ মঙ্গললবার দুপুরে প্রকাশ্যে মলয় বোসকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত খুনের সাথে জড়িতের সন্দেহে ১৩জন কে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত মলয় বোসের লাশ বুধবার সকালে তার নিজ এলাকা আটঘর ইউনিয়নের সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌছলে জনতার ঢল নামে। বিক্ষুদ্ধ জনতা হত্যাকারীদের ফাঁসীর দাবিতে তাৎক্ষনিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর একান্ত সচিব শফিউদ্দীন আহমদ। সমাবেশ থেকে মলয় বোস হত্যাকান্ডের ঘটনায় তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে । আ’লীগ কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, নেতাকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন ও সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিহতের আত্নার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়।
বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার দুপুরে সাড়ুকদিয়া গ্রামের হাসেম মোল্লা, দেলোয়ার মোল্লা, মোশাররফ মোল্লা ও কাশেম মোল্লা’র বাড়ীতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। ঘটনার পর সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, এএসপি সার্কেল তারিক আহমেদ ও ওসি আফসার উদ্দিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে মলয় বোস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে নসিমন চালক ওমর আলী (৩০)সহ মোট ১৩ জনকে গেপ্তার করেছে পুলিশ। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রকাশ্যে মলয় বোসকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার পর থেকেই ঘটনা স্থল ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউপির রনকাইল এলাকা সহ আশে পাশে অভিযান শুরু করে পুলিশ । গ্রেপ্তারকৃত ১৩জনকে বুধবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা মলয় বোসকে ফরিদপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে সালথা ফেরার পথে দুর্বিত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ বিভাষ দত্ত/ফরিদপুর