ঢাকা :: স্বাধীকার ও শোষণ মুক্তির লড়াই সংগ্রামে শুধু পুরুষ নয়, নারীও যে সাহসী ভূমিকা পালন করতে পারে সেই পথ দেখিয়ে গেছেন বিপ্লবী নারী প্রীতিলতা। নারীর মর্যাদা রক্ষায় প্রীতিলতার অদর্শকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
২৫ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলা বাসদ আয়োজিত বীরকন্যা প্রীতিলতার ৮৮তম আত্মহুতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল আলম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিলতার মূল শিক্ষা হলো নারীরাও পুরুষের মতোই স্বাধীনতা , বিপ্লব, সশস্ত্র যুদ্ধের যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী শম্পা বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেত্রী লিপিকা দত্ত, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি মমতাজ বেগম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) মাগুরা জেলা সভাপতি অধ্যাপক কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, সাবেক জাসদ নেতা কামরুজ্জামান চপল, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি মাগুরা জেলার সদস্য সচিব শরীফ তেহরান টুটুল, স্কলাস্টিকা স্কুল ও অদম্য পাঠশালার স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক ইয়াকুব আল ইমরান। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মাগুরা জেলা শাখার সংগঠক ভবতোষ বিশ্বাস জয় ।
সভায় বক্তারা জানান, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর জন্ম ১৯১১ সালের ৫ মে । তিনি ব্রীটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম বিপ্লবী নারী হিসেবে আত্মাহুতি দেন। বিপ্লবী সূর্য সেনের নেতৃত্বে তখনকার ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং জীবন বিসর্জন করেন। ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব দখলের সময় তিনি একটি বিপ্লবী দল পরিচালনা করেন। প্রীতিলতার দলটি ক্লাবটি আক্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করতে গেলে পুলিশের হাতে আটক এড়াতে প্রীতিলতা সায়ানাইড খেয়ে আত্মাহুতি দেয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি