আ হ ম ফয়সল, ঢাকা
৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ছিল বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১২ এর অষ্টম দিন। এ দিন মেলায় গল্প-৯, উপন্যাস-১৩, প্রবন্ধ-৮, কবিতা-১৬, গবেষণা-৫, ছড়া-২, শিশুতোষ-৩, জীবনী/স্মৃতিচারণ-৩, ভাষা-আন্দোলন/মুক্তিযুদ্ধ-৩, নাটক-১, বিজ্ঞান/গণিত-১, ইতিহাস-১, রাজনীতি-৪, চিকিৎসা/স্বাস’্য-১, রম্য/ধাঁধা-২, অনুবাদ-১, অন্যান্য-১০টি সহ মোট- ৮৪টি নতুন বই এসেছে। মেলায় আজও দর্শনার্থীদের উপসি’তি ছিল চোখে পড়ার মত। অনেকটা প্রাণের টানে ছুটে আসছেন বই প্রেমীরা।
তবে এদিন মেলার একজন প্রকাশক নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ মেলা আয়োজনে বাজেট বড় রাখলেও মেলার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। এতে করে দর্শনার্থীরা চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি একদিন একজন দর্শনার্থী মেলায় আসার পর আরেক দিন আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
বিকেলে গ্রন’মেলার মূলমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘ভাষা-সংগ্রামী আলতাফ মাহমুদ, রমেশ শীল এবং আবদুল লতিফ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস’াপন করেন যথাক্রমে কামাল লোহানী, মাহমুদ সেলিম এবং সাইম রানা। আলোচনা করেন রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনো, অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ এবং কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাচীন লোকগানের সংগ্রাহক, পণ্ডিত রামকানাই দাশ।
আলোচকবৃন্দ বলেন, এ তিনজন গুণী শিল্পী ছিলেন মৃত্তিকার ফসল। তাই তাঁরা মানবমুক্তির জন্য রাজনীতি ও সংস্কৃতির যুগলবন্দি রচনা করেছিলেন। জনগণের মধ্য থেকে উপাদান সংগ্রহ করে জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। রমেশ শীলের সঙ্গে আবদুল লতিফ ও আলতাফ মাহমুদের কালগত দূরত্ব থাকলেও তাঁদের ঐক্যের বিন্দু একটি জায়গায় ছিল সি’র। আর তা হল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, বাঙালি গণমানুষের সার্বিক মুক্তি।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাউল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লতিফ সাঁই, রুশিয়া খানম, আরজ আলী বয়াতি, রনজিৎ দাস বাউল, মমমতা দাসী বাউল, কোহিনুর আক্তার গোলাপী, টুনটুন সাধু এবং এএইচএম সালাউদ্দিন।