ডেস্ক রিপোর্ট::  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ১০৮নং ব্যাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ, হারমোনিয়াম ও তবলা বিক্রি এবং ফ্যান ও ল্যাপটপ নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জেলা কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয়রা।

অভিযোগে বলা হয়, সুফিয়া আক্তার ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নায়েব খান ও বর্তমান সভাপতি তার (নায়েব খান) স্ত্রী ফাতেমা বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের ফ্যান নিজ বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার ও ল্যাপটপ তার ভাইকে ব্যবহার করতে দিয়েছেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের গান শেখান জন্য সাবেক সভাপতির দেওয়া হারমোনিয়াম ও তবলা বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক সুফিয়া আক্তার বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। তিনি বিদ্যালয়ের কাজের কথা বলে বিভিন্ন স্থানে চলে যান। নিজের খেয়ালখুশি মতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন তিনি। তার এসব কর্মকাণ্ডে অন্য শিক্ষকরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফাতেমা বেগম বলেন, প্রধান শিক্ষকের কিছু সমস্যা আছে। তাকে এসব বিষয়ে বেশ কয়েকবার শোধরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তিনি শোধরাননি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুফিয়া আক্তারের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টার পর তাকে পাওয়া যায়। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাফ চাই ভাই। দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। আমাকে মাফ করে দিবেন।’

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল চন্দ্র বালা বলেন,আমরা এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here