প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে জরায়ু-স্তন ক্যান্সার রোধ হবে

ডেস্ক রিপোর্টঃঃ  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সারা বিশ্বে প্রশংসিত। স্বাস্থ্যখাতে তার অনেক উদ্যোগের মধ্যে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার রোধে ‘ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি’। তার এ উদ্যোগের মাধ্যমেই দেশের জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার রোধ হবে।

বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকের সম্মেলন কক্ষে ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির উদ্যোগে এক প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কল্পোসকপি বিষয়ে ছয় দিনব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ (এডভান্স ট্রেনিং অন কল্পোসকপি) কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার রোধে উচ্চতর প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রশিক্ষক হিসেবে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডা. জয়দ্বীপ ভৌমিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেন।

সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের সব জেলা উপজেলার চিকিৎসকদের জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং করার উচ্চর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সারাদেশে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরা যেদিন একযোগে কাজ করতে পারবে সেদিন বাংলাদেশ থেকে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার বিতারিত হবে বলে বিশ্বাস করি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনোকলোজিক্যার অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ‘ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি’র প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জুলাই ২০১৮ সাল থেকে জুন ২০২১ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইলেকট্রিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ-স্তনক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি (ইপিসিবিসিএসপি)’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরে প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর  বাড়ানো হয় জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় সংশোধনীতে সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব  হলে একনেক তা অনুমোদন করে।

এ প্রকল্প থেকেই সারাদেশের ‘ইলেকট্রিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ুমুখ-স্তনক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচির মাধ্যমে এধরণের রোগে আক্রান্ত নারীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৫০টি উপজেলায় এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ প্রকল্প পরিচালিত হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here