আব্দুুর রউফ হায়দার কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি :: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিবন্ধি শিশুদের শিক্ষার বাতিঘর বাহাগিলী আর্দশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে থেকে অকাতরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাহাগিলী ইউনিয়নের অজোপাড়া গায়ে ৩০শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়টি। একসময় বালু আর ধুলোয় ধুসরিত ওই বিদ্যালয়টির মাঠ এখন নানা প্রজাতির গাছে সৌন্দয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেখানে পড়ালেখা শিখছে ১৬১ জন প্রতিবন্ধি শিশু। এসব শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো বিলিয়ে দিচ্ছে প্রধান শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষক শিক্ষিকা।
সকাল ৯টা হলেই শিক্ষাথীদের আনা নেয়ার কাজে ব্যাস্ত থাকেন ৪জন ভ্যানচালক। সর্বদা তাদের সেবা শশ্র্জা করেন ১৯জন কর্মচারী। বিদ্যালয়টির ৮টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষক মন্ডলীদের জন্য রয়েছে একটি অফিস কক্ষ। দুপুর হলেই শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় বিভিন্ন রকমারী রকমের নাস্তা।
বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তুষারের পিতা হযরত আলী বলেন, আমার ছেলে বাক প্রতিবন্ধি। ওই স্কুলে গিয়ে এখন একটু একটু কথা বলতে শিখেছে। এখন বর্ণমালাও পড়তে পারে।
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মানসিক প্রতিবন্ধি ওয়াদুদ হোসেন জানান, আমি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক গান শিখেছি। তাকে একটি গান গাইতে বললে সুবেলা কন্ঠে সে গেয়ে উঠে পদ্ম সেতুর নির্মান বিষয়ক একটি গান।
এরকম অভিভাবক অহিদার রহমান, নুর উল্লাহ ও আজমল হোসেন তাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের কথা স্বীকার করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাহাগিলী আর্দশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরকত ই খুদা মুকুল বলেন, বিদ্যালয়টি চালতে গিয়ে আমি হিমশিম খাচ্ছি। এরমধ্যে সরকারি ভাবে ২০১৭সালে বি.আর ডিপি থেকে ৫০হাজার টাকা পেয়েছি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী থেকে ৫০হাজার দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উপজেলা পরিষদ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফা আকতার বলেন অনেকে প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এমপিওর অপেক্ষায় বসে আছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয় খুবই ভাল করছে। ওই বিদ্যালয় গুলোর অগ্রগতিও ভাল।