ফ্যাশন ধারণায় এখন এসেছে নানা পরিবর্তন। ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নয়; বরং যা পরতে ভালো লাগছে, যা দেখতে ভালো লাগছে তাই পরা হচ্ছে। তাই লাল শাড়ির সঙ্গে লাল টিপই পরতে হবে বা সোনালি ও রুপালি দুটি রং একসঙ্গে পরা যাবে না, এমন কোনো কথা এখন আর চলছে না। তবু এর মধ্যেও অনেকে চান পোশাক ও সাজে রঙের একটা সামঞ্জস্য রাখতে। তাঁদের জন্যই বিবিয়ানার ফ্যাশন ডিজাইনার লিপি খন্দকার দিয়েছেন কিছু পরামর্শ।
অনুষঙ্গের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পায় ব্যাগ ও জুতো। অনেকেই ব্যাগ ও জুতার রং মেলানো নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। অর্থাৎ পোশাক যে রঙের সেই একই রঙের ব্যাগ হবে কি না, আবার জুতাটা ব্যাগের সঙ্গে নাকি পোশাকের সঙ্গে মিলতে হবে—এসব নিয়ে অনেকেই একটু দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। এর সমাধান দিয়েছেন লিপি খন্দকার। তাঁর মতে, জুতা ও ব্যাগের মিল থাকতে হবে। অর্থাৎ জুতা যে রঙের ব্যাগও সেই একই রঙের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তিনি কিছু রঙের বিপরীতে কিছু রংকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সব ধরনের হালকা রং যেমন ফিরোজা, পেস্ট, হালকা বেগুনি, হলুদ, কমলা এগুলোর সঙ্গে অফহোয়াইট রঙের ব্যাগ ও জুতা; আবার আকাশি, হালকা গোলাপি, গাঢ় নীল এসব রঙের সঙ্গে সাদা ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করাই শ্রেয়। এ ছাড়া সাদা-কালো কোনো পোশাকের সঙ্গে লাল রঙের ব্যাগ ও জুতাকে বেছে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। কারণ লাল রং সাদা ও কালো উভয়ের সঙ্গেই সুন্দর মানিয়ে যায়। তবে কখনোই লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে লাল ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করা যাবে না। লাল রঙের পোশাকে যদি সোনালির ছটা থাকে, সোনালি রঙের ব্যাগ ও জুতা অথবা লাল পোশাকের সঙ্গে কালো ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করাই ভালো। এসব তো গেল একরঙা পোশাকের ক্ষেত্রে, কিন্তু যেসব পোশাকে নানা রঙের ছটা থাকে সেগুলোর বেলায়? পোশাকে যে রঙের উপস্থিতিটা একটু কম কিন্তু উজ্জ্বল, সেই রঙের ব্যাগ ও জুতা ব্যবহার করাই ভালো বলে জানালেন লিপি খন্দকার। তবে যেসব রঙের ব্যাগ ও জুতা সাধারণত পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে কী হবে? সহজ সমাধান দিয়েছেন লিপি খন্দকার, কালো রঙের ব্যাগ ও জুতা সব রঙের পোশাকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। এ ছাড়া পার্টিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাল, হলুদ, সোনালি, চাপা সাদা (অফহোয়াইট), মেরুন, কমলা রঙের পোশাকের সঙ্গে সোনালি ব্যাগ ও জুতা এবং গাঢ় নীল, ফিরোজা, আকাশি, গাঢ় সবুজ, বেগুনি, হালকা গোলাপি রঙের পোশাকের সঙ্গে রুপালি ব্যাগ ও জুতা মানাবে।