শক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার মাধ্যম মাদার্শা গ্রামে একদল ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্ততি কালে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল আকতার,পিপিএম(বার) এর নেতৃত্বে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচাঞ্জ সামিউল আলম ও পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)অংসা খোয়াই মার্মা এস আই সফিকুল ইসলাম,এস আই রাশেদ,এস এই শাহ আলম, এস আই সেন্টু,এস আই হক্কানি,এ এস আই নুরুল ইসলাম,এ এস আই স্বপন কুমার এবং থানার একদল পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাটহাজারীর মধ্যম মাদার্শা গ্রামস্থ জনৈক ইমাম হোসেন এর বাড়ির সম্মুখে মদুনাঘাট ও ফতেয়াবাদ এলাকায় ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছিল। পুলিশদল ঐ স্থানে পৌঁছিলে পুলিশের উপসি’তি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশের উপর এলোপাতাড়িভাবে গুলি ছোড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচাঞ্জ সামিউল আলম তিন রাউন্ড,এস আই মীর কাসেম দুই রাইন্ড,এস আই সফিকুল ইসলাম দুই রাইন্ড ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা মোট ১৩ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ডাকাতদলকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় আরো কয়েকজন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায় বলে জানান পুলিশ।

উভয় পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে গুলিতে নুরুজ্জামান(৩৫) ও বদিউল আলম দুইজন ডাকাত আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হইতে ১১ জন ডাকাত সদস্যকে আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থল ডাকাতদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় তৈরি বন্দুক,১০ রাউল্ড কার্তুজ ও ঘর ভাঙার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আহত ডাকাতদের চমেক হাসপাতালে পাটিয়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত ডাকাতরা হলেন নুরুজ্জামা(৩৮),বদিউল আলম(২৮),মোহাম্মদ রশিদ আহমেদ(৩৬),মোহাম্মদ নুরুল আজিম(৩০),সাদ্দাম হোসেন(২৪),মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম(২৬),মোহাম্মদ সিকান্দার(৪০) মোহাম্মদ সৈয়দ আলম(২২),জাহাংগির আলম জাহাগিজ্য(২৩),জয়নাল উদ্দিন(২৪) ও খোরশেদ আলম(২৫) পলাতক মোহাম্মদ জসিম (২৮)
ধৃত ডাকাতদের জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি আন-জেলা ডাকাতদলের সদস্য,চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের সংগী পলাতক ডাকাত মোহাম্মদ জসিম এর আহবানে গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম শহরস্থ কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন লিজা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একত্রিত হইয়া সেখান থেকে মধ্যম মাদার্শা গ্রামস্থ একটি দোতলা বাড়িতে ডাকাতির প্রস্থতি নিচ্ছিল।

ইউনাএটড নিউজ ২৪ ডট কম/মোহাম্মদ হোসেন/হাটহাজারী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here