বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ পদত্যাগ করেছেন বলে প্রকাশ৷ এবং আজই তার সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷
বিক্ষোভকারীরা রাজধানী মালের কেন্দ্রীয় চত্বরে জড়ো হয়৷ এই চত্বর পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের কাছেই অবস্থিত৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদও এই জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন৷ নাশিদের সমর্থকরা তাঁর সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে যাচ্ছিল৷ এরপর বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছুড়ে মারে৷ এর জবাবে নিরাপত্তা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং পেপার স্প্রে ছোঁড়ে৷ এরপর এক প্রকার জোর করেই বিক্ষোভকারীদের মূল চত্বরে আবার ফেরত পাঠানো হয়৷
নাশিদের সমর্থকরা জোর দাবি করছেন যে তারা কিছুতেই চত্বর ছেড়ে যাবেন না৷ একজন বলেছেন, আমাদের এখানে থেকে সরে যেতে বললে আমার অন্য জায়গায় গিয়ে বিক্ষোভ করবো৷ অন্য আরেক সমর্থক বলেছেন, জোর করে মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷
এর জবাবে প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন যে, মোহাম্মদ নাশিদ যা বলছেন তার কোন ভিত্তি নেই৷ কোন ধরণের ক্যু করে তাকে সরানো হয়নি৷ এধরণের কোন ঘটনা ঘটবে এর জন্য কেউই প্রস্তুত ছিল না৷ এমন কি তিনি নিজেও প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন তা জেনে অবাক হয়েছেন৷
তিনি মালদ্বীপের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, কথা বলেছেন৷ তাদের সবাইকে তিনি প্রশ্ন করেছেন,‘‘আমাকে দেখে কী মনে হয় যে আমি অভ্যুত্থানের আয়োজন করতে পারি? এ ধরণের কোন পরিকল্পনা কখনোই আমার মাথায় আসেনি৷”
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক দপ্তরের প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন মালদ্বীপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ করেছে, নাশিদের সমর্থকদের ওপর কোন ধরণের অত্যাচার যেন না করা হয়৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তজাতিক ডেস্ক