গণমিছিল কর্মসূচিতে গুলির ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে পাঁচ সদস্যের ‘নাগরিক তদন্ত কমিটি’গঠন করেছে বিএনপি। আজ সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেন,“আমরা মনে করি,পুলিশের তদন্ত কমিটি নিয়ে গুলিবর্ষণের আসল সত্য উৎঘাটিত হবে না। ওই কমিটি পুলিশকে রক্ষা করবে। ফলে প্রকৃত দোষীরা চিহ্নিত হবে না।”
বিএনপির তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিএনপি সমর্থক আহ্বায়ক খন্দকার মাহবুব হোসেনকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন,জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ,বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান মিয়া,সংসদ সদস্য হাজিজুর রহমান এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা জজ আবু তালেব।
সরকারের পক্ষপাতিত্বের কারণে ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হয়নি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “এ কারণেই চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এই নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।” গত ২৯ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশ গুলি চালালে চার জন নিহত হন। পরদিন রাজশাহীতে একই কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান,বরকত উল্লাহ বুলু,মিজানুর রহমান মিনু,রুহুল কবির রিজভী,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম,ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী,শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।