পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও মার্চেন্ট ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ‘প্রণোদনা’ প্যাকেজের চারটি বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে গত কয়েক দিনে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সার্কুলার জারি করে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারিগুলোতে (মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ কার্যক্রম) নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত অর্থ ঋণ দিয়ে থাকলে, তা সমন্বয়ের জন্য আরো সময় পাবে।
এছাড়া আগে ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হলেও তা ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এতে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনো ব্যাংক মোট পরিশোধিত মূলধনের ১০ ভাগের বেশি ঋণ দিতে পারে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, শেয়ার ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানিকে (মার্চেন্ট ব্যাংক) মূলধন হিসেবে যে ঋণ দেয়, তা পুঁজিবাজারে ওই ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
এছাড়া কোনো কোম্পানিতে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী ইক্যুইটি বিনিয়োগকেও পুঁজিবাজারে ওই ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগে সম্ভাব্য ক্ষতি ঠেকাতে সুযোগ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলো সুবিধা পাবে।
এছাড়া বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ ফার্মের কমিশনপ্রাপ্তির দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সহজ করারও উদ্যোগ নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়গুলো সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস কে সুর।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার পড়তে ক্লিক করুন