পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটাকে সরাসরি সড়ক পথে সংযোগকারী ‘পায়রা সেতু’র উদ্বোধন করেছেন। আর এর মাধ্যমে উন্নয়নের মহাসড়কে আরো একটি স্বপ্ন পূরণ হলো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।
ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার খরস্রোতা পায়রা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী সেতুটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। এর জন্য আমাদের এখানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় বরিশাল, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়ক পথ ফেরিবিহীন হলো। এর আগে বরিশাল থেকে মহাসড়ক পথে কুয়াকাটা পৌঁছাতে হলে ছয়টি স্থানে ফেরি পার হতে হতো।
লেবুখালী-পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুল হালিম বলেন, ২০১৬ সালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে মূল সেতুর শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে। সেতুতে বেশকিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মূল পিলার রক্ষায় নিরাপত্তা পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। বজ্রপাত-ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কিনা সেটি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’-এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আবদুল হালিম বলেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ব্রিজের আদলে নির্মিত দেশের দ্বিতীয় ব্রিজ যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে ব্রিজের নির্মাণ হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক ৫০০ কোটি টাকা।