কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি :: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর সভাপতিত্বে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা-৫ সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম,কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ।
এছাড়া আরো বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু।
প্রধান অতিথি প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল। দেশী-বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থারা তাঁকে বারবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু তিনি বাংলার মানুষকে সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। সন্তানের প্রতি পিতার যেমন অগাধ বিশ্বাস, আস্থা থাকে, তাঁর তাই ছিল। যার কারণে তিনি নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। এরই সুযোগ নিয়েছিলো তাঁরই ঘনিষ্ট সহচর মোশতাকসহ একদল বিপথগামী স্বার্থান্বেষী মহল। দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বঙ্গবন্ধুর সাথে তার স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলী আর কোন বাঙালির মধ্যে ছিলো না। তিনি সবার মধ্য থেকে অনন্য হয়ে উঠেছিলেন। মানুষকে আপন করে নিয়েছিলেন বলেই বাঙালি তাঁকে ভালোবেসেছিল। কিন্তু কিছু বেঈমান ১৯৭১ সাল থেকেই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সফল হয় ১৯৭৫ সালে। পৃথিবীতে আর কোন নেতাকে এত রক্ত দিতে হয়নি জাতির জন্য, বঙ্গবন্ধুকে যত রক্ত দিতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়া সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আলোচনা সভার আগে অতিথিরা বঙ্গবন্ধু হলে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান। এছাড়া ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয় ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।