কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি :: পাবনায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়য়া ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুক্রবার সকাল পযন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় মোট ৩২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে হাম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৯ জনে।
অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে বাজারের ভোগ্যপণ্যে ক্রয়ে ভীর করছে সাধারন মানুষ। আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমল্যের দাম বাড়িয়েছে কয়েক গুন।
পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, গেল ২৪ ঘন্টায় জেলার ৩২৯ ব্যকিক্তকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলাতে নেয়া হয়েছে ২৭৯ জনকে।
সিভিল সার্জন আারো জানান, ঈশ্বরদী উপজেলায় হোম কোয়ার্টোইনে নেয়া ২৭৯ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিদেশী নাগরিক। তারা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সদর উপজেললার ১৭, আটঘরিয়ায় ৭, বেড়া ৭, চাটমোহরে ৪. ভাঙ্গুড়ায় ২, ফরিদপুরের ৭ এবং সুজানগরে ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
অপর দিকে করোনা পরিস্থিতিতে পাবনা জেলার সর্বত্র সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ, সেমিনার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতংকে সাধারন মানুষ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য মাজুদ করতে শুরু করায় বাজারে উপচে পড়া ভীড় দেখা দিয়েছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। সব চেয়ে বেশি বেড়েছে চাউলের দাম। বস্তা প্রতি ২’শ থেকে ২’শ ৫০ টাকা দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোড়দার করার দাবী জানিয়েছে সাধারন ক্রেতারা।