পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরধরে শনিবার ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে। নিহত মোস্তফা কামাল শান্ত (২২) ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পূর্বটেংরী এলাকার আবুল কালামের ছেলে। নিহত শান্ত পাবনা টেক্সটাইল কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল, অগ্নি সংযোগ ব্যাপক ভাংচুর, ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীদের হাত থেকে রেহায় পাইনী পবিত্র কোরআন শরিফ।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শান্ত পাবনা শহরে তার কলেজে যাবার উদ্যোশে বাড়ি থেকে বেড় হয়। সে ঈশ্বরদী হাসপাতাল রোডের মাদরাসা এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা স্থানীয় ৫-৭ জন যুবলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে উপুর্যুপুরী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে বেলা ১১টার দিকে সে মারা যায়।
তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ সমর্থকরা ঘটনার সাথে জড়িত যুবলীগ কর্মী আব্দুল কুদ্দুস, নাটা সোহেল, ওয়াসিমসহ ৪ জনের বাড়ীতে ভাংচুর, লুট-ত্বরাজ ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে ঈশ্বরদী ফায়ার সাফির্সের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় অপর একটি গ্র“প ঈশ্বরদীর প্রধান সড়ক, থানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। তারা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আতংকে লোক-জন দিগি¦দিক ছুটা ছুটি করতে থাকে।মুহুতের মধ্যে দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল।
শান্তর পিতা আবুল কালাম আজাদ জানান, তার ছেলে কোন দল করতো না। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন সমর্থক তার বন্ধু ছিল। সেই বন্ধুদের সাথে যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের দ্বন্দ ও শত্র“তার জের ধরেই তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফুল ইসলাম জানান, শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের গুরুত্ব পূর্নস্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কলিট তালুকদার/পাবনা