পাবনা এলজিইডি অফিসের সড়ক নির্মাণ কাজের ১৬ টি গ্রুপের ১২ কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে। সাঁথিয়া ও বেড়া অঞ্চলের এ সব কাজ দরপত্র দাখিলের আগেই বিপুল টাকার বিনিময়ে ঠিকাদার নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সে কারণে নির্ধারিত ঠিকাদার ছাড়া অন্য কাউকে দরপত্র দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শহরের সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাবনা জেলার বেড়া ও সাঁিথয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য এলজিইডি ১৬টি গ্রুপে দরপত্র আহবান করে। পাবনার একটি প্রভাবশালী চক্র এলজিইডি অফিসকে ম্যানেজ করে এই সব কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। সিডিউল তৈরি হয়নি এই অজুহাতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঠিকাদারদের কাছে কোন দরপত্র বিক্রি করা হয়নি।
এদিকে সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ছিল ঐ দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। ঠিকাদাররা সিডিউল কিনতে না পারায় কেউ জমা দিতে পারেনি। যাদেরকে আগেই ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে শুধুমাত্র ঐ সব ঠিকাদার দরপত্র দাখিল করে। কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে নির্বাচিত ঠিকাদাররা তাদের প্রতিটি কাজের সমর্থণে ২টি করে ‘সার্পোটিং’ দরপত্র দাখিল করে। ফলে প্রতিটি গ্রুপের বিপরীতে মাত্র ৩ টি থেকে ৪ টি করে দরপত্র জমা হয় এবং সর্বমোট ৪৯টি দরপত্র জমা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনার কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, প্রায় ৫০ লাখ কোটি টাকা উৎকোচের বিনিময়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের এবং পাবনার একটি প্রভাবশালী চক্র যোগসাজশ করে এ সব কাজ ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়েছেন। তারা আরও বলেন, এতে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং যারা ঠিকাদারী পেয়েছেন তারা এই কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলে আশংকা ব্যক্তি করেন। তারা আরও বলেন, প্রতিটি কাজের বিপরীতে এত কম সিডিউল জমা পড়া দেখে যে কেউ বিশ্বাস করবে কারচুপি হয়েছে। তারা দরপত্র আহবান বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে এলজিইডি পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজ ভাগ বাটোয়ারার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, এ সব কাজের দরপত্র বিক্রির জন্য বিভিন্ন অফিসে দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদাররা সিডিউল না কিনলে আমাদের করার কিছু নেই।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কলিট তালুকদার/পাবনা