কলিট তালুকদার, পাবনা প্রতিনিধি :: মা ইলিশ মাছ রক্ষা সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করার দায়ে গেল ১১ দিনে পাবনার সুজানগর ও আমিনপুরে পদ্মা ও যমুনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১’শ ৬ জন জেলে কে আটক করেছে। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও কয়েক জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। এসব অভিযানে জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে “মা ইলিশ রক্ষা করুন ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধি করুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গেল ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা,পরিবহন,খাওয়া ও মজুদ করা সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যেন ইলিশ মাছ শিকার না করতে পারে এই জন্য পুলিশ মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগীতায় আমিনপুরের ঢালার চর, কাজিরহাট, নটাকোলা, সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া,মালিফা,হাসেমপুরসহ পদ্মা ও যমুনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
গেল ৯ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সুজানগর উপজেলা থেকে ৪৪ জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ১৪ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানে ৪’শ ৫৫ কেজি ইলিশ মাছ ও ৪ লাখ ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
একই ভাবে আমিনপুরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬২ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৪০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ২২ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানে ২’শ ৯০ কেজি ইলিশ মাছ ও ১ লাখ ১১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরন করা হয় ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন আরো বলেন, ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় সম্পাদ। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ ররিকুল ইসলাম (বিপিএম,পিপিএম) এর নির্দেশে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় জাতীয় এই সম্পাদ রক্ষা ও বৃদ্ধি করতে মা ইলিশ মাছ রক্ষায় সরকার যে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞ জারী করেছে এই নিষেধাজ্ঞ চলাকালে প্রতি দিনই পুলিশের অভিযান চলবে এবং নিষেধাজ্ঞ অমান্যকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।