মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী(চট্টগ্রাম)

হাটহাজারীতে পান চাষের অপার সম্ভাবনায় উৎফুল্ল চাষীরা। অনেক চাষীই এরই মধ্যে চাষ ব্যবস’া পাল্টিয়ে পান চাষে আর্থিক সাফল্য অর্জ করেছেন। কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন জানিয়েছেন, পান চাষের সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ এলাকার কৃষক পরিবার গুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। সে সঙ্গে মজবুত হবে অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। উপজেলা সদরের পশ্চিম দেওয়ান নগর কেরুপাড়া বারৈায়া পাড়া ঘুরে জানা গেছে, এলাকায় কয়েক কানি জমিতে পান চাষের আবাদ। প্রায় শত বছর আগ থেকে এ এলাকায় কয়েক একর জমিতে পান চাষ ছিল। বর্তমানে এ এলাকায় কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করার ফলে এখানে পান চাষ কমে গেছে। ইটভাটার কারনে পান চাষে ব্যাপক ক্ষতী সাধিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এখানকার পান চাষীরা। বর্তমানে এ চাষে অনেক চাষীই সাফল্য অর্জন করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগর গ্রামের অজিদ চন্দ্র দে ছেলে বর কানি- দে এক কানি জমিতে পান চাষে ১ লাখ টাকা খরছ করে দেড় থেকে এক লাখ আশি হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। মাটি ভাল হলে ৭-৮ বছর পর্যন- পান ধরে।

একই গ্রামের চাষী মানিক চন্দ্র দে,সনে-াষ দে,অজিদ চন্দ্র দে সাথে কথা হলে তারা জানান, এ এলাকার অর্থকরী ফসল বলতে পান চাষ। এর উপর নির্ভর করে বারৈায়া পাড়া গ্রামের অনেক কৃষকের জীবন-জীবিকা। উপজেলার কৃষি অফিস থেকে আমরা কখনও সু-দৃষ্টি পায়নি। মাঝে মধ্যে পান পচাঁ গোড়া রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে কৃষকরা নিঃস্বঃ ও ঋণী হয়ে পড়েন।

পান চাষ তাদের অর্থনৈতিক সাফল্য দেখিয়েছে। তারা জানান, কানি জমিতে পান চাষে ৮০ থেকে লাখ টাকা খরচা হয়। কিন’ পান তোলা যায় ৭ বছর ধরে। কৃষকদের এটি একটি লাভ জনক চাষ। চাষীরা জানান তারা কখন উপজেলার কৃষি অধিদফতর থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি। কৃষি ব্যাংক ও গ্রামীন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেকেই পান চাষ করেছেন। এ এলাকার মাটি পান চাষে উপযোগী। এখানকার পান দেশের অন্যান্য জেলায় দীর্ঘ দিন সরবরাহ করে আসছে। এখানে ৫ থেকে ৬ কানি জমিতে বিভিন্ন জাতের পান চাষ হচ্ছে এবং দিন দিন পান বরজের সংখ্যা বাড়ছে। তবে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন,পান চাষের সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে এ এলাকায় কৃষক পরিবার গুলোর পরিবর্তন ঘটবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here