জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুরে ওয়াপদা খালের উপর নির্মিত পুরাতন একটি ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। পানির তোড়ে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন ওয়াপদা খালের উপর নির্মিত পুরাতন এই ব্রিজ গত শুক্রবার বিকালে ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এতে করে স্থানীয়৫টি গ্রামের সাথে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এসব গ্রামের নারী, শিশু, শ্রমজীবী, বয়োবৃদ্ধরা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচলে চরম দূর্ভো পড়েছেন।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের চরশাহী ইউনিয়নের হাজিরপাড়া থেকে জনতা কলেজ সড়কের নুরুল্লাপুর ওয়াপদা খালের উপর ছিল পাকা এ ব্রিজ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয়সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় নির্মাণ করা হয় এই ফুট ব্রিজ। দীর্ঘ বছর ধরে খালের পানির তোড়ে ধীরে ধীরে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গিয়ে জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে ছিল ব্রিজটি। গত শুক্রবার হঠাৎ পানির তোড়ে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এ সময় বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও ঘটনার সময় ব্রিজের উপর দিয়ে হেঁটে চলা দুইজন দৌড়ে তাদের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন বলে জানা স্থানীয়রা।
স্থানীয়মোবাকর আলী, সফিক উল্যা ও বাদল মিয়া জানান, স্থানীয়রাজাপুর, খাগুড়িয়া, দিঘলী, দক্ষিণ নুরুল্লাপুর ও সাঙ্কি ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা জেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম হিসেবে নুরুল্লাপুর সড়কের এই ব্রিজটি ব্যবহার করে আসছিলেন। এ ব্রিজ দিয়ে জনতা ডিগ্রী কলেজ, নুরুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও খাগুড়িয়া মাদ্রাসাসহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন স্থানীয়শিক্ষক ও শত-শত শিক্ষার্থী। হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় এ সকল এলকার বাসিন্দাদের চলাচলে চরম দূভোগ পোহায়াতে হচ্ছে।
নুরুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয়েল ছাত্র মাহতাব উদ্দিন, জনতা ডিগ্রী কলেজর ছাত্রী আয়েশা আক্তার বলেন, ব্রিজটি থাকায় তারা সহজে স্কুল ও কলেজে যাতায়ত করতে পারতেন। এখন ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিনে থেকে তাদেরকে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাই দূত ব্রিজটি মির্মাণের দাবি জানান তারা।
লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী একে এম রশিদ আহমদ জানান, পানির প্রবল প্রবাহে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি ধ্বসে পড়েছে। তবে স্থানীয়দের ভোগান্তি কাটিয়ে তুলতে বিকল্প সেতু নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।