ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আজ ভোট হয় পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে৷ পাঞ্জাবে সরাসরি প্রতিদ্বন্দিতা কংগ্রেস ও বিজেপি জোটের৷ উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস বনাম বিজেপির৷
বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর জমানায় রাজ্যের উন্নয়নের ছবিটাও খুব ভালো ছিলনা৷ মাদকাসক্তি সমস্যার হাল করতে পারেনি তৎকালিন কংগ্রেস সরকার যারফলে সামাজিক অবক্ষয়ের শিকার হতে হয়েছে রাজ্যকে৷ জাতপাতের ভেদাভেদ ও দ্বন্দ্ব রাজ্যে প্রকট৷
উত্তরাখণ্ড রাজ্য গঠনের পর এটা হলো তৃতীয় বিধানসভা ভোট৷ শাসক দল বিজেপি এবং কংগ্রেস একবার কোরে রাজ্য শাসন করেছে৷ এবার এই দুটি প্রধান দলের মধ্যেই দ্বৈরথ সমর৷ ভোটদাতারা দুটো দলকেই পরীক্ষা করেছে৷ এবারে কাকে জেতায় সেটাই দেখার৷ ভোট প্রচারে তুলে ধরা হয় বেকারি, কাজের সন্ধানে পাহাড়ের মানুষদের রাজ্য ছেড়ে যাওয়া, সরকারি অর্থের অপব্যবহার এবং অনুন্নয়ন৷ দুর্নীতির অভিযোগে ৬-মাস আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয় বিজেপি৷ আসেন বি.সি খান্দুরি৷
দেখা গেছে রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে জয়পরাজয়ের ব্যবধান সামান্য৷ সেক্ষেত্রে মায়াবতীর বিএসপির মত ছোট দল হতে পারে এক নির্ণায়ক শক্তি৷ রাজ্যের তরাই অঞ্চলে বিএসপি’র প্রভাব আছে৷
পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যদি ভলো ফল করতে পারে তাহলে প্রথমত, সর্বভারতীয় নেতা এবং কংগ্রেসের উদীয়মান শক্তি হিসেবে রাহুল গান্ধীর বিশ্বাসযোগ্যতা শতগুণ বেড়ে যাবে৷ নির্বাচনী প্রচারের কর্ণধার ছিলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, কেন্দ্রে মনমোহন সিং সরকারের স্থিতিশীলতা হবে পোক্ত৷
দ্বিতীয়ত, পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড থেকে ১১জন রাজ্যসভা সদস্যপদ খালি হচ্ছে সামনের এপ্রিল মাসে৷ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে অনেক সংস্কার কর্মসূচি আটকে যাচ্ছে৷ ১১জন সদস্য কংগ্রেস পেলে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাগে আনতে সুবিধা হবে মনমোহন সিং সরকারের৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক