জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে ৯২ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ ৩০ দশমিক ৩ ওভার ব্যয় করে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায়।
পাকিস্তানের পক্ষে শহীদ আফ্রিদি ২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ইনিংস ধসিয়ে দেন। তবে ধ্বংস্তুপের মধ্যেও বাংলাদেশের তরুণ অলরাউন্ডার নাসির হোসেন দলে পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন। এছাড়া রুবেল অপরাজিত ১৫ এবং সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। অধিনায়ক মুশফিক করেন ১১।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করেননি কোনো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
মূলত টপঅর্ডারের কাণ্ডজ্ঞানহীন আনাড়ি ব্যাটিংয়ে শুরুতেই বাংলদেশ বিপদে পড়ে। রানের খাতা খোলার আগেই লেগ বিফোর হয়ে বিদায় নেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এরপর তার পথ অনুসরণ করেন নাঈম ইসলাম, দলীয় ৬ রানে।
দলীয় ২৯ রানে মুশফিকুর (১১) এবং শাহরিয়ার নাফিস (৭) বিদায় নেন। এরপর ৩১ রানে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১) সাজঘরে ফিরে গেলে আরো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে যা একটু টেনে তোলেন নাসির হোসেন। তবে ভালো শুরুর পরেও তিনি আউট হয়ে যান দলীয় ৬৭ রানে।
এরপর দলীয় ৭১ রানে সাকিব (১৫) এবং ৭৪ রানে আব্দুর রাজ্জাক (৩) ও ফরহাদ রেজা (১) সাজঘরে ফেরেন। তারপরেও দলীয় রান ৯১ হয় শেষ জুটিতে শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেন ১৭ রান যোগ করায়। আফ্রিদির বলে দলীয় ৯১ রানে শফিউল (০) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেও রুবেল ১০ বলে ৩ চারে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের পক্ষে আফ্রিদি ছাড়া মোহাম্মদ হাফিজ, উমর গুল, শোয়েব মালিক, সাঈদ আজমল ও আজিজ চিমা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট দখল করেন।
উল্লেখ্য, এরআগে দুদল ২৬ বার পরস্পরের মুখোমুখিতে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ, বিশ্বকাপে। বাকি ২৫ ম্যাচে হার। আর মিরপুরে একটি ম্যাচসহ ঘরের মাঠের ৮ খেলায় বাংলাদেশ এখনো জয়ের দেখা পায়নি।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্পোর্টস নিউজ