একাত্তরের ভূমিকার জন্য পাকিস্তানকে আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
এই সময় মন্ত্রী আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রাপ্য সম্পদ ও যুদ্ধের ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কথা হাইকমিশনারের কাছে পুনর্ব্যক্ত করেন।
দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বৈঠক বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয় রাতে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার দ্রুত সমাধান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্তমানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে এবং বৃহত্তর পরিসরে সহযোগিতার দ্বার উন্মোচনে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনীতি, সামাজিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরো জোরদার করার সুযোগ রয়েছে বলে তারা একমত হন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে পাকিস্তানি পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশের বিরোধিতার ব্যাখ্যা দিয়ে দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়। কিন্তু আন্তুর্জাতিক বাণিজ্যিক চুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাদিকার পায় না।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বিরাজমান।
শিক্ষা বৃত্তি এবং খেলাধুলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশকে পাকিস্তান অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করবে বলেও আশস্ত করেন আফরাসিয়াব মেহদী হাশমী।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা