মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা)
সরকারের বেধে দেওয়া ৮৩ দিন সময়ের ইতি মধ্য ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে। অথচ খুলনার পাইকগাছার সরকারি গুদামে চাল জমা পড়েনি একটি দানাও। কতৃপক্ষের উদাসিনতা ও মিলারদের গাফিলতি কারনে ২১ দিনে একটি চাল জমা পড়েনি। উক্ত সময়ে মধ্য একটি চালও গুদামে জমা না পড়ায় আমন মৌসুমে সরকারে চাল সংগ্রের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরকার গত ৫ ডিসেম্বও ২৮ টাকা দরে আমন চাল সংগ্রহের ঘোষণা দেন। উপজেলা খাদ্য গুদামে এ নিদের্শনা পৌছানোর পর কতৃপক্ষের তোড়জোড় শুরু হয়। উপজেলার ৫টি মিল কপিলমুনি ভদ্র অটো রাইস মিল ৫০মেঃ টন, সুন্দরবন রাইস মিল ৪০মেঃ টন, শীল রাইচ মিল ৪০মেঃ টন, রতন রাইচ মিল ৩১মেঃ টন, এবং পৌরসভার দাশ রাইচ মিল ৪০মেঃ টন সর্বমোট ২০১মেঃ টন চাল সরবরাহ করবেন মর্মে চুক্তিবদ্ধ হন। অথচ ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও কোনো মিলার এক ছটাক চাল গুদামে জমা দেননি।
একটি চালও গুদামজাত না হওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের কর্মকর্তারা স্নায়ু চাপে রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে চাল সংগ্রে লক্ষ্যমাত্রা পুরনে সক্ষম হয়নি কতৃপক্ষ।
এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা প্রশান- কুমার রায় বলেন, এ পর্যন- কোনো চাল সংগ্রহ করা না হলেও বাকী সময়ের মধ্যে নিদিষ্ট পরিমান চাল সংগ্রহ সম্ভব হবে।