মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা

পাইকগাছার লস্কর করুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ। ঘটনার পর শিক্ষার্থী গত ৫দিন নিখোঁজ রয়েছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান-মূলক শাসি- দাবী জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে।

অভিভাবক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার লস্কর করুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যায়লের বার্ষিক গণিত পরীক্ষা চলছিল। ঐ সময় শ্রেণীকক্ষে কর্তব্যরত শিক্ষীকা বেবী রাণী বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যান। সেখানে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক পুলকেশ মন্ডল। শিক্ষক কক্ষে প্রবেশ করেই কৌশল অবলম্বন করে ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে জানতে চান অংকতে কে কে লিটার পাবে। তখন গণিত শিক্ষক রমেশ মন্ডল ভূপতিসহ ৩ প্রাইভেট ছাত্র দাড়িয়ে তাদের লিটার পাওয়ার কথা জানান।

এ সময় কর্তব্যরত শিক্ষকের সন্দেহ হলে তাদের ৩জনের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিল আছে এমন প্রায় ৭০ নম্বরের অতিরিক্ত পাতায় বাড়ী থেকে লিখে আনা নকল উদ্ধার করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ও ছাত্রদের প্রাইভেট শিক্ষক রমেশ মন্ডল ছুটে এসে পরীক্ষার্থী লক্ষ্মণ সানার পুত্র ভূপতিকে বেদম মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায় দেয়ালে আঘাত করলে তার কান দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরবর্তিতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র ঢালী ঘটনাস’লে এসে পরিসি’তি শান- করেন।

ঘটনা পর হতে অসুস’ স্কুল ছাত্র ৫দিন যাবত নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী ও ভূপতির পরিবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রমেশ মন্ডল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির গণিত বিষয়ে একজন প্রশ্নপত্র প্রণেতা। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী তাকে প্রাইভেট পড়ানো নিষেধ। একদিকে তিনি সমিতির নিয়ম উপেক্ষা করে মোটা অংকের বিনিময়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। অপর দিকে ধরা পড়া নকলের সাথে প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে, যেহেতু, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে এজন্য তিনি এ কাজ করেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় রমেশ মন্ডলের এক প্রাইভেট ছাত্রীর কাছ থেকে অংক পরীক্ষার ৮টি নকল ধরা পড়ে। এতে প্রমাণিত হয়, তার প্রাইভেট ব্যবসা জমে জমাট করতে তিনি প্রাইভেট ছাত্র ছা্‌ত্রীরদের কাছে প্র্‌শ্ন ফাঁস করে থাকেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক রমেশ মন্ডল বলেন, আমি শাসনের উদ্দেশ্যে তাকে মারপিট করে ছিলাম, তবে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা মিথ্যা। প্রধান শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র ঢালী বলেন, শাসনের লক্ষে দু একটা চ্‌ড় মারছিল তবে অস্বাভাবিক কোন ঘটনা ঘটেনি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমা্‌ন জানান এবিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস’া নেয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here