মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি  ::

খুলনার পাইকগাছায় সরকারী ইট নিয়ে যেতে বাঁধা দেয়ায় সরকারী খাস জমি থেকে ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে জানাগেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়ন বাইসারাবাদ ও কচুবুনিয়া ১৬ নম্বর পোল্ডারে একটি সরকারী স্লুইজ গেট রয়েছে। সরকারী স্লুইজ গেটটি দেখভালের জন্য নিয়োগকৃত গেট খালাসীর থাকার জন্য গেটটির পাশেই জমি অধিগ্রহণ করে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে পাউবো। পরবর্তীতে গেট খালাসী পদটি বিলুপ্তি হলে সংস্কারের অভাবে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে ধ্বসে পড়ে। ধ্বসে পড়া ভবনের ইট যে যার মত নিয়ে ব্যবহার করতে শুরু করে।

২০১৫ সালে পাউবোর যায়গায় সম্মিলিত মৎস প্রকল্পের আওতায় (এফসিডিআই) বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে সরল গ্রামের
আবু বাক্কার সরদারের ছেলে আব্দুল আলিম। সে আবেদনে তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ মো. নুরুল হক প্রকল্পটি বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেন। আবেদনটি গ্রহণ করে তৎকালিন পাউবোর খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কান্তি কুন্ডু প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাইকগাছা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল মোতালেবকে নির্দেশনা দেন। সে মোতাবেগ তিনি
সরেজমিনে পরিদর্শন করে ভূমিহীন আব্দুল আলিমের পরিবারের থাকার জন্য গেট খালাসীর ভবনের পাশে থাকা ও মাছ চাষ করার জন্য ব্যবস্থা করেন। পরবর্তী এসও মো. শহিদুল্লাহ মজুমদার সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

ভূমিহীন আবু বাক্কার সরদার জানান, কিছু দিন পূর্বে সরল গ্রামের জৈনক আমানুল্লাহ বাড়ির ভিতর থেকে পরিত্যক্ত ভবনের কিছু ইট নিয়ে যেতে চাইলে আমার ছেলে সেলিম নিষেধ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমানুল্লাহ আমাদেরকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আবাসন প্রকল্পের লোকদের এবং ওয়ার্ড সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী আমানুল্লাহ কাছে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আজিজ জানান, আমানুল্লাহসহ আবাসন প্রকল্পের কিছু লোক আমার কাছে এসে অভিযোগ করেন যে সেলিমের বৌয়ের ব্যবহার ভালোনা। বিভিন্ন লোকের সাথে ঝগড়া করে। সেজন্য সুপারিশ করেছি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আবাসন প্রকল্পটি প্রায় এক কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। এতো দুরের মানুষের সাথে কি করে ঝগড়া করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here