ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক :: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার মধ্য এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন যা পশ্চিমা বিরোধী অসংখ্য দেশকে একত্রিত করবে।

পুতিন এবং শি নিয়মিতভাবে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) জোটের তত্ত্বাবধানে মিলিত হন। যার সর্বশেষ অধিবেশন কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই ব্লকের সাথে একটি ‘সংলাপ অংশীদার’ হিসেবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সংস্থার পূর্ণ সদস্য সাবেক সোভিয়েত মধ্য এশিয়ার দেশগুলো, ভারত, চীন, রাশিয়া এবং ইরান।
পুতিন মূল অধিবেশনের প্রাক্কালে বুধবার এরদোয়ান এবং শি’র সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। চীনা নেতাকে পুতিন বলেছেন, সাংহাই জোট ‘একটি ন্যায্য বহুমুখী বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ’ হিসাবে তার ভূমিকাকে শক্তিশালী করছে।

রাশিয়া ও চীন উভয় দেশ বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন নেতৃত্বকে ‘আধিপত্য’ বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে।

মস্কোর প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের জন্য পশ্চিমে সমালোচিত শি বুধবার পুতিনকে বলেছেন, তিনি তার ‘পুরনো বন্ধু’কে আবার দেখতে পেরে আনন্দিত।

এরদোয়ান বুধবার পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। তাকে তুরস্কে আমন্ত্রণ জানান এবং ইউক্রেনে ‘উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ন্যায্যতার ভিত্তিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এসসিও ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি প্রাধান্য পেয়েছে। এর নয়টি পূর্ণ সদস্য দেশ হল চীন, ভারত, ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান।

পশ্চিমা-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান এ বছর পূর্ণ সদস্য হিসাবে সম্মেলনে যোগ দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন দেওয়া বেলারুশও বৃহস্পতিবার সংস্থার দশম পূর্ণ সদস্য হবে।

বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো কাজাখ মিডিয়ার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে ‘বিশ্বের কাছে প্রদর্শন করার জন্য যে বিকল্প আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, ক্ষমতার বিভিন্ন কেন্দ্র’ রয়েছে তার জন্য জোটের প্রশংসা করেছেন।

জোটটি বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং তার জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করে তবে এটি আঞ্চলিক বিরোধসহ অনেক অভ্যন্তরীণ মতবিরোধসহ একটি ভিন্ন ব্লক।

যদিও রাশিয়া এবং চীন পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, তারা মধ্য এশিয়ায় অর্থনৈতিক প্রতিদ্ব›দ্ধী, এটি তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল এবং এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন পথ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here