শাব্বির এলাহী, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে ঃ
প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি খ্যাত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পর্যটন শিল্পের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তাই বাঙালী, মনিপুরী, গারো,খাসিয়া, চা শ্রমিক নানা জাতিগোষ্ঠীর এ জনপদের যে কারো হৃদয় উৎসারিত শব্দ ‘আই লাভ কমলগঞ্জ ‘। আধুনিক বিশ্বের প্রতিটি দেশেই পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। যে কোনো দেশের অর্থনীতিতে পর্যটনের আয় ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। কমলগঞ্জের পর্যটন শিল্পকে আকর্ষণীয় ও উন্নত করে তুলতে সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।পর্যটনে সমৃদ্ধময় কমলগঞ্জ উপজেলা দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে কমলগঞ্জের পর্যটণ শিল্পকে কিভাবে আরও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা যায় সে ভাবনা থেকেই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে অবস্থিত নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক হৃদ মাধবপুর লেক এ স্থাপিত হচ্ছে ইংরেজিতে লেখা দৃষ্টি নন্দন স্মারক ‘আই লাভ কমলগঞ্জ ‘।
রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে এ শিল্পকর্মটি। মাধবপুর লেক একটি কৃত্রিম জলাধার! মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৬৫ সালে বাগানের তিনটি টিলাকে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে গড়ে তোলে মাধবপুর লেক।বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে এই লেকটি অন্যতম।
চলতি শীত মৌসুমের শুরু থেকেই বেড়ে চলছে পর্যটকদের অনাগোনা। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে নান্দনিক কমলগঞ্জ গড়ে তুলতে বহুমাত্রিক কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এটি ক্ষুদ্র একটা পদক্ষেপ। এ জনপদের পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সচেতন মহলের ধারণা, সরকারীভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর যথাযথ উন্নয়ন করা সম্ভব হলে বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশের পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করা সহজ হবে।সেই সাথে রাজস্ব আয়ও বাড়বে,হবে কর্মসংস্থান।