![](https://www.unitednews24.com/wp-content/uploads/2025/01/d.jpg)
টেকসই উন্নয়ন কিংবা পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলা যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। তরুণরা পরিবেশগত পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। তাই তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বের সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। চট্টগ্রামে এক সম্মাননা পদান অনুষ্ঠানের বক্তারা এসব কথা বলেছেন। বুধবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ইপসা এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ১০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি দিতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। উদ্বোধন করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের পরিচালক শামিমা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন ইপসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সিফাত বিনতে আরা।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাজ সুলতানা এবং চুয়েটের প্রফেসর ড. আসিফুল হক। আলোচনায় পরিবেশ সুরক্ষা এবং তরুণদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা উঠে আসে।
যুবদের শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান ইপসার প্রোগ্রাম অফিসার সেতার রুদ্র এবং সহকারী পরিচালক আব্দুস সবুরের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইয়ুথনেট গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী সোহানুর রহমান। তিনি বলেন, “তরুণরা পরিবেশগত ন্যায্যতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নেতৃত্বের সুযোগ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করা হলে তারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও উদ্যোগগুলো স্বীকৃতি পেলে তারা আরও অনুপ্রাণিত হবে।”
অন্য প্যানেলিস্ট স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন, এবং ৩৫০ ডট অর্গ সাউথ এশিয়ান মবিলাইজেশনের কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ পরিবেশগত সুরক্ষায় যুবদের কার্যকর অংশগ্রহণ এবং বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বক্তারা পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের কার্যকর অংশগ্রহণ এবং বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।