সরকার সচেতনভাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বলেছেন, দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ রুখে দেবে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে জমীয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের এক গোল টেবিল আলোচনা মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় এসে ভারতকে খুশি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এজন্য টিপাইমুখে বাঁধ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উৎকণ্ঠাকে সরকার উপেক্ষা করছে।

তিনি আরো বলেন, এ বাঁধ হলে সিলেটের হাওরের পানি ২৫ ভাগ এবং পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি প্রায় ১৫ ভাগ হ্রাস পাবে। আর বাঁধ ধসে পড়লে মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে গোটা সিলেট এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে- বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষতি করে ভারত কোনো বাঁধ দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, টিপাইমুখে বাঁধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। বাঁধ নির্মাণের আগে দুদেশের মধ্যে যৌথ সমীক্ষা হতে হবে। এতে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু না পাওয়া গেলে বাঁধ নির্মাণের প্রশ্ন আসবে। তবে আমরা এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি, তাতে এ বাঁধ হলে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের বিবৃতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী করলে মানা যেত। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এ বাঁধ না করতে ভারত সরকারকে তিনবার চিঠি দিয়েছিলেন। পরে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তার কাছে প্রথমেই এ বিষয়ে জানতে চান। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করে বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে মৌন সম্মতিও দিয়েছিলেন।

বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, ট্রানজিটের নামে করিডোর, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে সরকার দেশের মূল হাতিয়ারগুলো ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।

সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মওলানা মোস্তফা আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি ওয়াক্কাস, সিনিয়র সভাপতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, শেখ আনওয়ারুল হক প্রমুখ।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ঢাকা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here