জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে পরকীয়ায় সাড়া দিতে গিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রী প্রেমিক, প্রেমিকের সহযোগী ও স্থানীয়দের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ছবিলপুর গ্রামে।
এঘটনায় শুক্রবার বিকেলে সদর থানায় প্রেমিক শিব্বির মাহমুদকে প্রধান করে ৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন গণধর্ষনের শিকার গৃহবধূ।
পরে পুলিশ তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, সদর উপজেলার ছবিলপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি। স্বামীর বাড়ী পাশ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামে। গৃহবধূর সাথে স্বামীর এলাকার কলেজ ছাত্র শিব্বির মাহমুদের পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার শিব্বির তার গৃহবধুর বাবার বাড়িতে আসে। তার আগের মোবাইল ফোনে তোলা নগ্ন ছবি দেখিয়ে শিব্বির তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ সময়ে ঘরের বাইরে অবস্থান করা শিব্বিরের বন্ধু জাফর, আলতাফ, কামাল দরজা খুলতে বলে। তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে দু’জনের অপকর্মের কথা লোকজনের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে গৃহবধূর কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই তিনজন।
পরে তারা গৃহবধূর একটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও নগদ ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় ফারুক বিষয়টি টের পেয়ে গৃহবধূকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী বাগানে ধর্ষণ করে।
শুক্রবার ভোরে অচেতন অবস্থায় বাগানে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানায়।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য মহিলা মেম্বার হোসনোয়ারা বেগম বলেন, খবর পেয়ে আমি নির্যাতিত গৃহবধূকে ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লহ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।