বাংলাদেশের বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোন প্রমাণ না পাওয়ার কথা দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক৷ বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পর তদন্ত করে বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান৷
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা স্থগিত করে গত বছর৷ তাদের অভিযোগ, সেতু প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে৷ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনাল কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ আদায় করেছে৷ এই অভিযোগের তদন্ত করেছে দুদক৷ দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানান, যেসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাক যোগ্যতা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং তথ্য প্রমাণ নিয়ে এই অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি৷
প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, যারা কাজ পায়নি তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযোগ তৈরি করে বিশ্বব্যাংকে পাঠিয়েছে৷ ভুয়া অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেয়ার কোন সুযোগ নেই৷ তাই দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা৷
৬.১৫ কি.মি. দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ এরমধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ১২০ কোটি ডলার৷ কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক এখন সে অর্থ ছাড় স্থগিত রেখেছে৷ বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বিকল্প অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের চেষ্টা করছে৷ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই সেতু নির্মাণ করে দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে৷
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/স্টাফ রিপোর্টার