আবু হোসাইন সুমন, মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল ১০টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটির প্রধান গেইট/ফটক থেকে বের হওয়া র্যালীটি বন্দর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে আনন্দ র্যালীটি বন্দরের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।র্যালীতে অংশ নেয়া বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাহসি ভূমিকা নিয়ে পদ্মা সেতু সম্পন্ন ও চালু করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নানা শ্লোগান দেন।
র্যালী শেষে স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি লাভবান হলো তা হচ্ছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেতুর সুফলে খুব দ্রুতই এ বন্দরের আমদানী-রপ্তানী পণ্য, কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডেলিং অনেক গুনে বেড়ে যাবে। আর এজন্য অবশ্যই বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আরো দায়িত্বশীল হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
বহুলকাঙ্খিত এ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত এখন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দরসহ ২১ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এই ২১ জেলার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে মোংলা বন্দরে।
র্যালী শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ শাহিনুর আলমসহ অন্যান্যরা।