ডেস্ক রিপোর্ট::  প্রথমবারের মতো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলের ট্রায়াল রান শুরু হতে যাচ্ছে। ঐতিহাসিক এবং বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমোটিভ মাস্টার এনামুল হক এবং সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার এম এ হোসেন। ট্রেন পরিচালনায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এই দুই লোকোমাস্টারই সাক্ষী হয়েছেন অনেক ঘটনার। তবে আজকের এই ট্রেনযাত্রাকে কর্ম জীবনের বিশেষ দিন মনে করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের এমন অনুভূতির কথা জানান তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করে রাখা হয়েছে ট্রেন। শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে সব যন্ত্রাংশ। ট্রেন ঘিরে সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের জমজমাট উপস্থিতি।

লোকোমাস্টার এনামুল হক জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দীর্ঘ ১৯ বছরের কর্মজীবন চলছে তার। দীর্ঘ এই সময় জুড়ে প্রায় ৪ হাজার ট্রেন যাত্রা পরিচালনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ রেলওয়ের অসংখ্য নতুন কোচ উদ্বোধন হয়েছে তার হাত ধরেই। তবে আজকের অবিজ্ঞতা ভিন্ন।

তিনি বলেন, আজকের এই যাত্রায় নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমাদের গর্ব এবং গৌরবের পদ্মা সেতুতে আমিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ট্রেন নিয়ে উঠছি। এটি অনেক বড় পাওয়া। অত্যন্ত গর্ববোধ করছি।

সহকারী লোকোমাস্টার এম এ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ট্রেন পরিচালনা করছি। অনেক ঘটনা আর সাক্ষী হয়েছি তবে আজকের এই ভিন্ন ধরনের। আমেরিকান ইঞ্জিন ৬৬২৩ বিইপি—৩২ নিয়ে পদ্মা সেতুতে আনুষ্ঠানিক ট্রায়াল রান শুরু হবে। আমি এই যাত্রায় সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে কাজ করতে পেরে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

জানা গেছে, দেশের ইতিহাসে পদ্মা সেতুতের রেললাইনই প্রথম ব্যালাস্টলেস বা পাথরবিহীন রেলপথ। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনটি ভাগে চলেছে এই নির্মাণ কাজ। ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর। যার মধ্যে মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশ রয়েছে পদ্মা সেতু।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here